আলোর মনি রিপোর্ট: শসা চাষে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশী লাভ হওয়ায় শসা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এখানকার কৃষকেরা। শসা চাষ করে পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা, হয়েছেন স্বাবলম্বী। কম সময়ে অধিক ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, অনান্য ফসলের তুলনায় বেশী লাভজনক হওয়ায় দিন দিন শসা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শসা চাষে কৃষকদেরকে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রামের কৃষকেরা শসা চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা, হয়েছেন স্বাবলম্বী। জমি তৈরি, মাচাসহ ১একর জমিতে খরচ হয় ৩০হাজার থেকে ৩৫হাজার টাকা। ওই জমিতে ১লক্ষ থেকে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকার শসা উৎপাদন হয় বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
প্রতি শতক জমিতে খরচ হয় ৩শত থেকে ৪শত টাকা। উৎপাদিত শসা বিক্রি করে আয় হয় ১হাজার থেকে ১হাজার ৫শত টাকা। বীজ বপনের ৪০দিন থেকে ৪৫দিনের মধ্যে ফসল তোলা শুরু হয়ে যায়।
কৃষকেরা জানান, ধানের তুলনায় শসায় ৩/৪গুণ বেশী লাভ হয়। কৃষকেরা ক্ষেত থেকে শসা তুলে এনে আড়তে বিক্রি করছেন। শসা চাষে মহিলা, বেকার যুবকদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে এখানকার শসা। স্থানীয় বাজারের ক্রেতারা টাটকা/তাজা শসা কিনতে পেরে বেশ খুশি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান সেলিম বলেন, কম খরচে শসা চাষ করে বেশী লাভবান হওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।